• ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, সোমবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Soumitra Chatterjee

বিনোদুনিয়া

গান স্যালুটের মাধ্যমে শেষ বিদায় কিংবদন্তী অভিনেতা  সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে

কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে গান স্যালুটের মাধ্যমে শেষ বিদায় জানানো হল। রবিবার সন্ধ্যে ৬ টা ৪৫ মিনিটে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে গান স্যালুট দেওয়া হয়। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হল শেষকৃত্য। সন্ধে ৭টা নাগাদ পঞ্চভূতে বিলীন হলেন কিংবদন্তী শিল্পী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। গান স্যালুটের সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন মেয়ে পৌলমী বসু। এদিন অভিনেতার মৃত্যুর পর তার কন্যা পৌ্লমী চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দুপুর দুটো নাগাদ তাঁর মরদেহ গলফগ্রীনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর মরদেহে শ্রদ্ধা জানান পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজনরা। বেশ কিছুক্ষণ তাঁর মৃতদেহ সেখানে রাখার পর সৌ্মিত্র চট্টোপাধ্যায়কে টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতের কলাকুশলীরা। সেখান থেকে সাড়ে তিনটে নাগাদ দু ঘণ্টার জন্য অভিনেতার মরদেহ রবীন্দ্র সদনে নিয়ে আসা হয়। প্রিয় অভিনেতাকে শেষবারের মতো চোখের দেখা দেখতে রবীন্দ্র সদন চত্বরে ভিড় উপচে পড়ে। সেখানে তাকে বহু মানুষ শেষ শ্রদ্ধা জানান। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে বিদায় জানাতে সেখানে সিনেমা জগতের কলাকুশলীরাও উপস্থিত ছিলেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ রবীন্দ্র সদন থেকে বেরয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মরদেহ শায়িত শববাহী গাড়ি। গন্তব্য কেওড়াতলা মহাশ্মশান। আরও পড়ুন ঃ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন টলিউড শিল্পী- পরিচালকদের কিংবদন্তী শিল্পীর শেষযাত্রায় পা মেলালেন অগণিত ভক্ত, অনুরাগীরা। শেষযাত্রায় মানুষের ঢল। জয়ধ্বনি দিতে দিতে এগিয়ে চলেছেন সবাই। তাঁর শেষযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন শাসক দলের নেতানেত্রীদের পাশাপাশি বিজেপি , বাম ও কংগ্রেসের নেতারাও। পদযাত্রায় পা মেলালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেব, রুক্মিণী মৈত্র ও রাজ চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তীও। গান গাইলেন ইন্দ্রনীল সেন, অভিনেতাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁরই লেখা কবিতা পাঠ করলেন কৌশিক সেন। সৌ্মিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।

নভেম্বর ১৫, ২০২০
বিনোদুনিয়া

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন টলিউড শিল্পী- পরিচালকদের

প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মৃত্যু্তে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্র জগতে। অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় জানান, বহুদিনের সম্পর্ক ছিল। একসঙ্গে কাজ করেছি প্রচুর। তাঁর কথায়, ওনার মৃত্যু কখনই হবে না। ও বেঁচে থাকবে। সৌমিত্রের প্রয়াণে ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় জানান, আমার কাছে মানুষ সৌমিত্র অত্যন্ত সহজ সরল একজন মানুষ। ওঁর মৃত্যুটা মেনে নিয়ে পারছি না।বর্ষীয়ান অভিনেত্রী লিলি চক্রবর্তী বলেন, আমরা প্রায় একই সঙ্গে কাজ শুরু করেছি। এত সুন্দর ওঁর ব্যবহার। একসঙ্গে থিয়েটার করেছি। শুধুই সুখস্মৃতির ভিড়। আরও পড়ুন ঃ সৌ্মিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীদের সত্যজিতের ফেলুদার স্মৃতিচারণায় সন্দীপ রায় জানান, ষাট বছরের বেশি সময় ধরে চিনি। পরিবারের একজনকে হারালাম আজ। শর্মিলা ঠাকুর জানান, উনি শুধু অভিনয়ে নন, একাধারে আরও অন্যান্য ক্ষেত্রেও ছাপ রেখে গেছেন তিনি। আক্ষেপ থেকে গেল, কেন যে ওঁর আবৃত্তিগুলো রেকর্ড করলাম না। অপর্ণা সেন বলেন , উনি আমার প্রথম ছবির প্রথম নায়ক। প্রথমে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে কাকা বলে ডাকতাম। পরে নাম ধরে ডাকলেও সেই শ্রদ্ধাটা ছিল। জুটি হিসেবে আমরা কখনও সফল ছিলাম কি না জানি না। তবে উনি একবার ঠাট্টা করে বলেছিলেন, তুই পরিচালক হলি আমাদের জুটিটা ভেঙে গেল। সৌমিত্রের মৃত্যুতে মুহ্যমান হয়ে পড়েছেন প্রসেনজিৎ। হয়ে পড়েছেন আবেগপ্রবণ। বাড়ি থেকে বেরোতে চাইছেন না। কথাও বলতে চাইছেন না। তবু তারই মধ্যে সৌমিত্রের মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছে তিনি পিতৃপ্রতিম এক ব্যক্তিত্ব। বাংলা তথা ভারতীয় ছবি ও নাটকে তাঁর অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।বিসিসিআই-র সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় টুইটারে লিখেছেন, আপনি প্রচুর কাজ করেছেন। শান্তিতে থাকুন।

নভেম্বর ১৫, ২০২০
বিনোদুনিয়া

সৌ্মিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীদের

অভিনেতা সৌ্মিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করলেন দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনি টুইটে লিখেছেন , সত্যজিৎ রায়ের মাস্টারপিসে অপু ট্রিলজি এবং অন্যান্য সিনেমায় তাঁর স্মরণীয় অভিনয়ের জন্য সৌমিএ চট্টোপাধ্যায়কে আজীবন স্মরণ করা হবে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার সঙ্গে, সঙ্গে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগত আরও একজন কিংবদন্তি নায়ককে হারাল। সত্যজিৎ রায়ের মাস্টারপিসে অপু ট্রিলজি এবং অন্যান্য স্মরণীয় অভিনয়ের জন্য তাঁকে বিশেষভাবে স্মরণ করা হবে। অভিনয়ের নৈপুণ্যে তিনি ব্যাপক অবদান রেখেছিলেন। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় তাঁকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার, পদ্মভূষণ এবং লেজিয়ান ডিহ্নেউর সহ একাধিক জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরষ্কার এনে দিয়েছে। তাঁর পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সমবেদনা রইল। চলচ্চিএ জগৎ এবং বিশ্বজুড়ে তাঁর অগনিত ভক্তদের জন্য রইল আমার সমবেদনা। শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইটে নরেন্দ্র মোদি লেখেন , সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণ চলচ্চিত্র জগত, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর কাজের মধ্যে বাঙালির চেতনা , ভাবাবেগ ও নৈতিকতার প্রতিফলন পাওয়া যায়। তাঁর প্রয়াণে আমি শোকাহত। সৌ্মিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পরিবার ও অনুরাগীদের সমবেদনা জানাই। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে টুইট বার্তায় শোকজ্ঞাপন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন টুইটারে তিনি লেখেন, কিংবদন্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়জির মৃত্যুর খবরে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। বাংলা চলচ্চিত্রকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সৌমিত্র দার মৃত্যু ভারতীয় রুপালি পর্দার অপূরণীয় ক্ষতি। আরও এক রত্নকে হারাল দেশবাসী। আমার সমবেদনা এবং প্রার্থনা তাঁর পরিবার এবং অগণিত অনুগামীদের সঙ্গে রয়েছে। ওম শান্তি শান্তি শান্তি। আরও পড়ুন ঃ বাবাকে আমরা সেলিব্রেট করব হাসিমুখেঃ পৌলমী বসু কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইট বার্তায় শোক জ্ঞাপন করে লিখেছেন, দাদাসাহেব ফালকে পুরষ্কারপ্রাপ্ত শ্রী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবরে দুঃখিত। তিনি বহু বছর ধরে গোটা জাতির কাছে শ্রদ্ধার পাএ ছিলেন। তাঁর পরিবার, বন্ধু এবং ভক্তদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা রইল। শোকজ্ঞাপন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইটে লেখেন, ফেলুদা আর নেই। বিদায় জানালেন অপু। বিদায় সৌমিত্র (দা) চট্টোপাধ্যায়। তিনি জীবন্ত কিংবদন্তী ছিলেন। আন্তর্জাতিক, ভারতীয় ও বাংলা চলচ্চিত্র একজন বিরাট ব্যক্তিত্বকে হারাল। আমরা তাঁর অভাব গভীরভাবে অনুভব করব। বাংলার চলচ্চিত্র জগৎ অনাথ হয়ে গেল। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র টুইট করে শোক প্রকাশ করেছেন। এদিন তিনি বলেন, উদয়ন পণ্ডিত অপরাজেয়। ৮৫ তে এসে ৪০ দিনের লড়াই থামেনি। তিনি অপরাজিত। তিনি বেঁচে আছেন, থাকবেন, তাঁর অমর সৃষ্টিতে, স্মৃতিতে, অসংখ্য মানুষের অন্তরের অন্তঃস্থলে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধার্ঘ্য এবং তাঁর পরিবার,পরিজন ও অনুরাগীদের আমাদের সমবেদনা জানাচ্ছি। বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় টুইট বার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন। এদিন টুইটে তিনি বলেন, আপনি সকলের হৃদয়ে মন জুড়ে থাকবেন।

নভেম্বর ১৫, ২০২০
বিনোদুনিয়া

বাবাকে আমরা সেলিব্রেট করব হাসিমুখেঃ পৌলমী বসু

অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণের খবর প্রকাশ্যে আসতেই বেলা ১টা নাগাদ বেলভিউ হাসপাতালে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে পৌলমি বসুর সঙ্গে কথা বলেন। হাসপাতাল চত্বরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কন্যা পৌলমী বসু। পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কান্না ধরা গলায় পৌলমী জানালেন, হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে ২টো নাগাদ বেরিয়ে গলফ্গ্রীনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে মার কাছে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁকে। এরপর টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর ৩টের পর রবীন্দ্র সদনে যাব। সেখানে ২ ঘণ্টা রাখা হবে তাঁকে। এরপর কেওড়াতলা মহাশ্মশানে হবে শেষ কৃত্য। যে সম্মান ওঁর প্রাপ্য ছিল, তার থেকেও বেশি সম্মান দিয়েছেন বাবাকে। এত আপনজনের মতো ভালবাসা দেওয়ার জন্য আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। বেলভিউ নার্সিংহোমের প্রতিও কৃতজ্ঞ। অরিন্দম কর থেকে শুরু করে প্রত্যেককে অসংখ্য ধন্যবাদ যেভাবে ওনারা চেষ্টা করেছেন।তাঁর মতো চিকিৎসক আরও প্রয়োজন। বাবা চিরকাল আমাদের মধ্যে থেকে যাবেন। বাবাকে আমরা সেলিব্রেট করব হাসিমুখে। আরও পড়ুন ঃ প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু সত্যিই বেদনাদায়ক। চলচ্চিত্র জগৎ থেকে শুরু করে নাট্যজগৎ অনেক ক্ষেত্রেই ওঁর অগাধ বিচরণ ছিল। রবীন্দ্র সদন থেকে মহাশ্মশানে নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধে ৬টা থেকে ৬:৩০-এর মধ্যে গান স্যালুট দিয়ে তাঁকে সম্মান জানানো হবে। উনি পার্থিবভাবে হয়তো চলে গিয়েছেন। কিন্তু তিনি আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবেন। সৌমিত্রদার শূন্যস্থান কেউ পূরণ করতে পারবেন না। আপনি যেখানেই থাকুন ভাল থাকুন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন তাঁর শোকবার্তায় লেখেন , বাংলার তথা ভারতের চলচ্চিত্র জগতের কিংবদন্তী নায়ক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় আমাদের ছেড়ে চলে যাওয়ায় বাংলার সকল মানুষের হয়ে আমি আমাদের গভীর মর্মবেদনা প্রকাশ করছি। যে প্রতিভাবান মানুষদের জন্য বিশ্বের দরবারে আমরা প্রতিনিধিত্ব পেয়েছি, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য ছিলেন। জগৎবরেণ্য চিত্রপরিচালক সত্যজিৎ রায়ের চোদ্দটি ছবি সহ তিনি দুশতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলি হল অপুর সংসার, চারুলতা, অভিযান, অরণ্যের দিনরাত্রি, অশনি সংকেত, সোনার কেল্লা, জয় বাবা ফেলুনাথ, হীরক রাজার দেশে, ঘরে বাইরে, গণশত্রু, গণদেবতা, ঝিন্দের বন্দী, তিন ভুবনের পারে, ক্ষুধিত পাষাণ, কোনি ইত্যাদি। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় একাধারে ছিলেন প্রবাদপ্রতিম চলচ্চিত্র ও মঞ্চাভিনেতা, পাশাপাশি অসামান্য বাচিক শিল্পী, কবি, লেখক, নাট্যকার এবং নাট্যনির্দেশক। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে ২০১২ সালে সারা জীবনের অবদানের জন্য চলচ্চিত্র পুরস্কার, ২০১৫ সালে টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড (হল অফ ফেম) ও ২০১৭ সালে বঙ্গবিভূষণ সম্মানে ভূষিত করে। এছাড়াও তিনি তাঁর অসামান্য অভিনয়ের জন্য পদ্মভূষণ, দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার, বিএফজেএ অ্যাওয়ার্ড, ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড, সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি টেগোর রত্ন অ্যাওয়ার্ড সহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন। ফ্রান্স সরকার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে ২০১৮ সালে তাঁদের সর্বোচ্চ সম্মান- লিজিয়ন দ্য অনার- এ ভূষিত করে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার বিশেষ শ্রদ্ধা ও প্রীতির সম্পর্ক ছিল। আমাদের আমন্ত্রণে তিনি বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার গ্রহণ করতে নজরুল মঞ্চে যেমন আমাদের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন, আবার পাশাপাশি কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে উপস্থিত থেকেছেন। তাঁর সসম্মান ও মর্যাদাপূর্ণ, আন্তরিক ব্যবহারে তিনি সকল সময়ে আমাদের চিত্ত স্পর্শ করেছেন। তাঁর মৃত্যু বাংলার জনজীবনে এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি করল। আমি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পরিবার-পরিজন ও অসংখ্য অনুরাগীর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি ।

নভেম্বর ১৫, ২০২০
বিনোদুনিয়া

প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা  সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

চলে গেলেন বর্ষীয়ান টলিউড অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। রবিবার বেলা ১২টা বেজে ১৫ মিনিট নাগাদ হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তাঁর মৃত্যু্ সংবাদে চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দীপাবলির দিনই চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছিলেন যে চিকিৎসায় আর সাড়া দিচ্ছেন না সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। মাল্টি অর্গান ফেলিওরের পরই সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছিল বর্ষীয়ান অভিনেতাকে। পূর্ণ মাত্রায় অক্সিজেন দেওয়া সত্ত্বেও তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা একেবারে কমে গিয়েছিল। রক্তচাপও কমছে শরীরে। কিডনি, লিভার, ফুসফুস, হার্ট কাজ করছে না। আরও পড়ুন ঃ লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ডায়ালিসিস ও প্লাজমাফেরাসিসেও ফল মিলছে না। অভিনেতার মস্তিষ্কের স্নায়ুর সচেতনতা অর্থাৎ গ্লাসগো কোমা স্কেল প্রায় ৫-এর নীচে। ফলে পরিস্থিতি যে জটিলের থেকেও ভয়ঙ্কর পর্যায় পৌঁছেছিল, তা ডাক্তাররা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল। প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সেদিন থেকেই তাঁর আরোগ্য কামনায় রত ছিল সারা বাংলা তথা গোটা দেশ। তাঁদের প্রার্থনার জোর যে ফেলুদাকে এই পরিস্থিতি থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবেই, তাতে আশাবাদী ছিলেন সৌমিত্র-অনুরাগীরা। কিন্তু তা আর হল না। চলে গেলেন ফেলুদা ।

নভেম্বর ১৫, ২০২০
বিনোদুনিয়া

লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

এখনও শারীরিক অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। এই অবস্থা থেকে কিংবদন্তি অভিনেতার ফেরার আশা প্রায় নেই বললেই চলে। শনিবার রাত নটার মেডিক্যাল বুলেটিনে বেলভিউ হাসপাতালের পক্ষ থেকে চিকিৎসক অরিন্দম কর জানান , গত প্রায় ৪০ দিন ধরে তাঁরা চেষ্টা চালিয়েছেন। বিভিন্ন রকম চিকিৎসা পদ্ধতিতে তাঁর চিকিৎসা করা হয়েছে। স্টেরয়েড, প্লাজমা থেরাপি, করা হয়েছে। চিকিৎসকদের বড় দল তাঁকে সুস্থ করে তোলার জন্য কাজ করেছে। নিউরোলজি, নেফ্রোলজি থেকে কার্ডিয়াক, অ্যান্টি-ভাইরাল সমস্ত বিভাগের বিশেষজ্ঞরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কোনও চিকিৎসাতেই সাড়া দিচ্ছেন না তিনি। এই অবস্থা থেকে একমাত্র অলৌকিক কিছু ঘটলেই তাঁকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। আরও পড়ুন ঃ চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এর আগে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চেতনাস্তর ৯ থেকে ১০-এর মধ্যে ছিল। তা পাঁচ পর্যন্ত নেমে গিয়েছিল। এই স্তর তিনে পৌঁছে গেলে ব্রেন ডেথ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারকে পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাঁরা বিষয়টি বুঝেছেন অবং পরিস্থিতির দাবি মেনে নিয়েছেন। আশা প্রায় না থাকলেও শেষ সময় পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে , বর্ষীয়ান অভিনেতার একাধিক অঙ্গ-প্রতঙ্গই আর কাজ করেছে না । শনিবার রাতের পরও তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। আপাতত শেষ চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা। পূর্ণ মাত্রায় অক্সিজেন দেওয়া সত্ত্বেও তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমছে। রক্তচাপ কমছে শরীরেও। কিডনি, লিভার, ফুসফুস, হার্ট কাজ করছে না। ডায়ালিসিস ও প্লাজমাফেরাসিসেও ফল মিলছে না। অভিনেতার মস্তিষ্কের স্নায়ুর সচেতনতা অর্থাৎ গ্লাসগো কোমা স্কেল প্রায় ৫-এর নীচে। ফলে পরিস্থিতি জটিলের থেকে ভয়ঙ্কর।

নভেম্বর ১৫, ২০২০
বিনোদুনিয়া

চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

চিকিৎসায় আর সাড়া দিচ্ছেন না সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। চিকিৎসক অরিন্দম কর জানান, গত ২৪ ঘণ্টা ধরে সৌমিত্রবাবুর শারীরিক অবস্থা ভালো নেই। বিভিন্ন ধরনের লাইফ সাপোর্টের মাধ্যমে তাঁকে সুস্থ করে তোলার জন্য আমাদের চেষ্টা চলছে। তবে চিকিৎসায় আর সাড়া দিচ্ছেন না সৌমিত্রবাবু। অভিনেতার উপর কোনও থেরাপিই আর কাজ করছে না। খুব সংকটে রয়েছেন তিনি। একমাত্র মিরাকলই সৌমিত্রবাবুকে সুস্থ করে তুলতে পারে। আরও পড়ুন ঃ মুক্তি পেল হাবজি গাবজির ট্রেলার তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়েছে। তিনি যাতে সুস্থ হয়ে ওঠেন তার জন্য চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে অভিনেতার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে বেসরকারি ওই হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছিল, বর্ষীয়ান এই অভিনেতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাঁর পরিস্থিতি ভাল নয়।

নভেম্বর ১৪, ২০২০
বিনোদুনিয়া

অত্যন্ত সংকটজনক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

অত্যন্ত সংকটজনক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার বেলভিউ হাসপাতালের পক্ষ থেকে ডা. অরিন্দম কর জানান , বুধবার বর্ষীয়ান অভিনেতার ট্র্যাকিওস্টমি করা হয়েছিল। সফলভাবেই তা সম্পন্ন হয়েছিল। বৃহস্পতিবারই আবার তাঁর প্রথম পর্যায়ের প্লাজমাফেরেসিস সম্পন্ন হয়। এর আগে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যারের চেতনাস্তর ৯ থেকে ১০-এর মধ্যে ছিল। আচমকা তা কেন নেমে গেল তা বোঝা যাচ্ছে না। অভিনেতার হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি। কিডনির অবস্থাও ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। ইইজি ও সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনও অস্বাভাবিকতার লক্ষণ দেখা যায়নি। আরও পড়ুন ঃ প্লাজমাফেরেসিস ভালভাবেই সম্পন্ন অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের তার কথায় , চিকিৎসক টিমের পক্ষ থেকে বেস্ট পসিবল এফোর্ট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আচমকা অভিনেতার শারীরির অবস্থা এতটা খারাপ হয়ে গেল, তা বোঝা যাচ্ছে না। যতদিন ধরে হাসপাতালে কিংবদন্তি অভিনেতা ভরতি রয়েছেন শুক্রবার তাঁর পক্ষে সবচেয়ে খারাপ দিন। তিনি আরও বলেন , আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা বোধহয় ওনার স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য যথেষ্ট ছিল না।

নভেম্বর ১৩, ২০২০
বিনোদুনিয়া

প্লাজমাফেরেসিস ভালভাবেই সম্পন্ন অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের

অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্লাজমাফেরেসিস ভালভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। আপাতত তিনি স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে বেলভিউ হাসপাতালের তরফ থেকে। বেলভিউ ক্লিনিকের চিকিৎসক ডাক্তার অরিন্দম কর জানান , অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়নি। তবে রক্তচাপ কম রয়েছে কিছুটা। তাতে তেমন চিন্তা নেই। ডায়ালিসিস এবং অন্যান্য বিষয়ে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আরও পড়ুন ঃ ট্র্যাকিওস্টমি ভালভাবেই সম্পন্ন অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বৃহস্পতিবার তাঁর প্লাজমাফেরেসিস সফল হওয়ার খবরে খুশি পরিবার ও অনুরাগীরা। দুপুরে তাঁর সিটি স্ক্যান-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা করা হয়। তার রিপোর্ট ভাল আসায় শুরু হয় প্লাজমাফেরেসিস। ৮৫ বছর বয়সি অভিনেতার সামান্য জ্বর রয়েছে। তবে ফুসফুস, লিভারের অবস্থা ভালই রয়েছে। চিকিৎসকরা এখন আশা করছেন, প্লাজমাফেরেসিস সফল হওয়ায় অভিনেতার আচ্ছন্নভাব ও অসংলগ্নতা অনেকটাই কেটে যাবে।

নভেম্বর ১৩, ২০২০
বিনোদুনিয়া

ট্র্যাকিওস্টমি ভালভাবেই সম্পন্ন অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের

ভালভাবেই বুধবার সম্পন্ন হয়েছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ট্র্যাকিওস্টমি। এদিন সন্ধ্যেবেলার মেডিক্যাল বুলেটিনে বেলভিউ হাসপাতালের পক্ষ থেকে ডা. অরিন্দম কর জানান, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ট্র্যাকিওস্টমি করেছেন ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডা. দীপঙ্কর দত্ত। সৌমিত্রবাবুর বয়স এবং অন্যান্য শারীরিক জটিলতার কারণে অস্ত্রোপচার বেশ কঠিন ছিল।তবে তা ভালভাবে সম্পন্ন হয়েছে। রক্তক্ষরণ বন্ধ করা গিয়েছে। এবার বর্ষীয়ান অভিনেতাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। সমস্ত কিছু ঠিক থাকলে বুধবারই প্লাজমাফেরেসিসের পথে হাঁটবেন চিকিৎসকদের দল। আরও পড়ুন ঃ প্লেটলেট কাউন্ট স্বাভাবিক হলেই হবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্লাজমাফেরেসিস আশা করা হচ্ছে, প্লাজমাফেরেসিস সফল হলে অভিনেতার আচ্ছন্নভাব ও অসংলগ্নতা অনেকটাই কেটে যাবে। তাঁর শরীরের বাকি সমস্ত অঙ্গপ্রতঙ্গে কোনও সমস্যা নেই। নেই জ্বর। রক্তচাপ ও অক্সিজেন স্যাচুরেশনও স্বাভাবিক। প্লাজমাফেরেসিস পদ্ধতির পর সৌমিত্রবাবুর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তাঁকে কিছুক্ষণের জন্য ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনার চেষ্টা করা হবে।

নভেম্বর ১২, ২০২০
বিনোদুনিয়া

প্লেটলেট কাউন্ট স্বাভাবিক হলেই হবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্লাজমাফেরেসিস

অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্লাজমাফেরেসিস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেলভিউ কতৃপক্ষ। মঙ্গলবার রাতে বেলভিউ হাসপাতালের পক্ষ থেকে ডা. অরিন্দম কর মেডিক্যাল বুলেটিনে জানান, ফুসফুস স্বাভাবিকভাবে কাজ না করায় নিয়মিত ডায়ালিসিস করতে হচ্ছে সৌমিত্র বাবুর। প্লেটলেট কাউন্ট নিয়ে একটা সমস্যা হয়েছিল। সেই বিষয়টা খানিকটা স্বাভাবিক হলেই প্লাজমাফেরেসিস করা হবে। আর বুধবার সকাল কিংবা দুপুরের মধ্যেই ট্র্যাকিওস্টমি হবে। এই অস্ত্রোপচারের জন্য যা যা অগ্রিম সতর্কতা প্রয়োজন, সবই আমাদের তরফে নেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন ঃ ফের বলিউডে কামব্যাক করতে চলেছেন তনুশ্রী দত্ত প্রতিটা সিদ্ধান্তই পরিবারের সঙ্গে আলোচনার পর নেওয়া হয়েছে। তাঁদের প্রতি মুহূর্তে সৌমিত্রবাবু শারীরিক পরিস্থিতির আপডেট দেওয়া হচ্ছে। তাঁরাও আমাদের উপর অগাধ ভরসা রেখেছেন। যে কোনও প্রয়োজনে পাশে থেকেছেন। তাই মন থেকে তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

নভেম্বর ১১, ২০২০
বিনোদুনিয়া

আগামীকাল ট্র্যাকিওস্টমি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের

আগামীকাল ট্র্যাকিওস্টমি করা হবে প্রবীণ অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। ট্র্যাকিওস্টমির ব্যাপারে তাঁর পরিবারের থেকে অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বুধবার এই অস্ত্রোপচারের পর সৌমিত্রবাবুর ফুসফুসে বেশি অক্সিজেন পৌঁছবে বলেই ধারণা চিকিৎসকদের। ঠিক হয়েছে প্লাজমাফেরেসিসও হবে অভিনেতার। আরও পড়ুন ঃ করোনা আক্রান্ত দক্ষিণী সুপারস্টার চিরঞ্জীবী বেলভিউ হাসপাতালের পক্ষ থেকে ডা. অরিন্দম কর সোমবার রাতের মেডিক্যাল বুলেটিনে জানিয়েছেন, অভিনেতার শারীরিক অবস্থা এখন একইরকম রয়েছে। মাঝে মাঝে তাঁর সংজ্ঞাও ফিরছে। তবে তা বেশিক্ষণের জন্য স্থায়ী হচ্ছে না। ঠিক হয়েছে পুনরায় অভিনেতার ইইজি করা হবে। নেফ্রোলজিস্টরা দেখছেন এই বয়সে আদৌ প্লাজমাফেরেসিস তাঁর পক্ষে কাজ করবে কিনা।

নভেম্বর ১০, ২০২০
বিনোদুনিয়া

শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল , তবুও সঙ্কটজনক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও উন্নতির তেমন কোনও লক্ষণ চোখে পড়ছে না। শনিবার রাতে মেডিক্যাল বুলেটিনে ডা. কর জানান, সৌমিত্রবাবুর ফুসফুস ভালভাবে কাজ করছে। ভেন্টিলেশন সাপোর্টের অনেকটাই কম প্রয়োজন হচ্ছে। তবে উন্নতির বিশেষ লক্ষণ দেখা যায়নি। আগের মতোই রয়েছেন। লিভারও ঠিকঠাক কাজ করছে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা এখন স্বাভাবিক। প্লেটলেট কাউন্টও স্বাভাবিক আছে। এইদিকগুলির অবস্থা আগের তুলনায় অনেকটাই ভাল। শেষ ৪৮ ঘণ্টায় জ্বর আসেনি। সংক্রমণও নিয়ন্ত্রণে। আপাতত অ্যান্টি-বায়োটিক দেওয়া বন্ধও করা গিয়েছে। তবে কিছু অ্যান্টি-বায়োটিক তাঁর কিডনির উপর খানিকটা প্রভাব ফেলছে। তাই কিডনির সমস্যাটা রয়েই গিয়েছে। আরও পড়ুন ঃ ইনস্টাগ্রামে বড় ঘোষণার আভাস শ্রাবন্তী পুত্রের অল্টারনেটিভ ডায়ালিলিসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্লাজমাফেরেসিসের কথা ভাবা হচ্ছে। তাঁর পরিবারও এই প্রক্রিয়ার জন্য রাজি। তবে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আরও খানিকটা আলোচনার পর এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাঁর এমন শারীরিক অবস্থায় আদৌও প্লাজমাফেরেসিস সম্ভব কি না, তা নিয়ে সোমবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। চিকিৎসকের কথায়, ৮৫ বছরের এক ব্যক্তির থেকে আর কতখানি আশা করা যায়। তবে এই বয়সেও চ্যাম্পিয়নের মতোই লড়ছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। সকলেই তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।

নভেম্বর ০৮, ২০২০
বিনোদুনিয়া

শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের

অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। শুক্রবার রাতে মেডিক্যাল বুলেটিনে মেডিক্যাল বোর্ডের অন্যতম প্রধান চিকিৎসক অরিন্দম কর জানান , সব ঠিক থাকলে শিগগিরই তাঁর অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ বন্ধ করা হবে। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হলেও, তাঁকে এখনই ভেন্টিলেশনের বাইরে আনার মতো অবস্থা হয়নি। আরও পড়ুন ঃ শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবীণ অভিনেতার শ্বাসনালীর জন্য ট্রাকিওস্টোমি করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এই দু, একদিনের মধ্যেই। অবশ্য শনি বা রবিবার তাঁর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কিছুটা বাড়লেও, তা স্বাভাবিকের তুলনায় কমই রয়েছে। তবে তাঁকে বারবারই রক্ত দিতে হচ্ছে। স্বাভাবিক রয়েছে প্লেটলেটস কাউন্ট। খুব ধীরে ধীরে কাটছে আচ্ছন্নভাব।

নভেম্বর ০৭, ২০২০
বিনোদুনিয়া

শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের

চেতনা সামান্য হলেও ফিরেছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। সৌমিত্রবাবুর চিকিৎসক টিমের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক অরিন্দম কর জানিয়েছেন , বারবার ডাকলে সামান্য চোখ খুলে তাকাচ্ছেন অভিনেতা। তবে বারবার রক্ত দেওয়ার পরেও কেন হিমোগ্লোবিন ও প্লেটলেটসের ধারাবাহিক পতন আটকানো যাচ্ছে না, তা গভীর চিন্তায় রেখেছে চিকিৎসকদের। তাঁর শরীরের সেকেন্ডারি ইনফেকশনকেই মাথাব্যথার কারণ বলছেন চিকিৎসকরা। আরও ্পড়ুন ঃ হিমোগ্লোবিনের মাত্রা আরও কম সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বুধবার পর্যাপ্ত মূত্রত্যাগ না হলেও এদিন তাঁর মূত্র নিঃসরণ ছিল স্বাভাবিক। বৃহস্পতিবার সৌমিত্রের কিডনি ও স্নায়ুর দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার পাশাপাশি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা স্থির করার জন্য তিনটি বোর্ড বৈঠকে বসে। সেই বৈঠকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন অভিনেতার পরিজনও।

নভেম্বর ০৬, ২০২০
বিনোদুনিয়া

হিমোগ্লোবিনের মাত্রা আরও কম সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের

সঙ্কট যেন কিছুতেই কাটছে না অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। বুধবার রাতে বেলভিউ হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, সৌমিত্রবাবুর রক্তে হিমোগ্লোবিন ও অনুচক্রিকার মাত্রা তলানির দিকে। তাঁর ট্র্যাকিওস্টমি করার কথাও ভাবছেন চিকিৎসকরা। তবে এখনও কোনও কিছুই চূড়ান্ত নয়। এদিন নতুন করে তাঁর দেহে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়নি। বাড়েনি ভেন্টিলেশনের মাত্রা। আরও পড়ুন ঃ কিডনির স্ট্রেস কমাতে ফের ডায়ালিসিস সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ইতিমধ্যেই চারবার ডায়ালিসিস হয়ে গিয়েছে অভিনেতার। তবু বুধবার স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই কম মূত্র নিঃসরণ হয়েছে তাঁর। হাসপাতাল সূ্ত্রে জানা গিয়েছে , বৃহস্পতিবার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কিডনির সমস্যা নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছে নেফ্রোলজি ও নিউরোলজি বোর্ড।

নভেম্বর ০৫, ২০২০
বিনোদুনিয়া

কিডনির স্ট্রেস কমাতে ফের ডায়ালিসিস সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের

শারীরিক অবস্থা একইরকম হয়েছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার ডাক্তার কর জানান, বর্ষীয়ান অভিনেতার নতুন করে রক্তক্ষরণ হয়নি। তাঁর শারীরিক অবস্থা একইরকম হয়েছে। হিমোগ্লোবিন প্রায় স্থিতিশীল পর্যায়ে চলে এসেছে। কিডনির স্ট্রেস কমাতেই এদিন ডায়ালিসিস করা হয়েছে। ইউরিন আউটপুট ভাল। ভাস্কুলার সার্জেন, রেডিওলজিস্ট, অ্যানাস্থেসিস্ট তাঁকে ২৪ ঘণ্টাই পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। নতুন করে যাতে আর রক্তক্ষরণ না হয়, সেদিকেই বিশেষভাবে খেয়াল রাখছেন চিকিৎসকরা। আরও পড়ুন ঃ ১৪ বছর বয়সে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন আমির কন্যা ইরা অভিনেতার শারীরিক অবস্থা সন্তোষজনক হলেই তাঁর নিউরোলজিক্যাল বিষয়গুলি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা হবে। গত কয়েকদিনের মতো মঙ্গলবারও অভিনেতার মস্তিষ্কের স্নায়ুর সচেতনতা অর্থাৎ গ্লাসগো কোমা স্কেলে সূচক ১০-এর কাছাকাছি। আচ্ছন্নভাব থাকলেও চোখ খুলছেন তিনি।

নভেম্বর ০৪, ২০২০
বিনোদুনিয়া

এখনও গভীর সঙ্কটজনক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

হিমোগ্লোবিনের মাত্রা এখনও স্বাভাবিকের থেকে কম সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। রবিবার সন্ধের পর থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে সাময়িক, তবে এখনও তা ভরসা যোগাচ্ছে না চিকিৎসকদের। চিকিৎসক অরিন্দম কর জানান , বর্ষীয়ান অভিনেতার ইন্টারনাল ব্লিডিং বা রক্তক্ষরণ বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। নতুন করে যাতে আর কোনওভাবে রক্তক্ষরণ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। সোমবার রাতে বা মঙ্গলবার সকালে একটা ছোট ভাস্কুলার প্রসিডিয়োর করে শরীরের মধ্যে জমে থাকা রক্ত বের করে নেওয়া হবে, যাতে সেখান থেকে আবার একদফা সংক্রমণ না-ছড়ায়। তবে রক্তচাপ স্বাভাবিক রয়েছে, হৃদযন্ত্র,ফুসফুস সহ অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ স্বাভাবিক ভাবে কাজ করছে। যদিও করোনা এনকেফেলোপ্যাথির জন্য তাঁর মস্তিষ্ক স্বাভাবিক ভাবে কাজ করছে না৷ আরও পড়ুন ঃ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা খুবই কম তিনি আরও ্জানান , তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও ঠিকই রয়েছে। তবে তাঁর অচেতন ভাব এখনও কাটেনি। সেটিই কীভাবে কাটিয়ে আবার আগের মতো সুস্থ করা সম্ভব হয় সে বিষয়েই চিন্তাভাবনা চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা। ফেলুদাকে ২৪ ঘণ্টা ভাস্কুলার সার্জেন, রেডিওলজিস্ট, অ্যানাস্থেসিস্ট পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।

নভেম্বর ০৩, ২০২০
বিনোদুনিয়া

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা খুবই কম

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শরীরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে । সোমবার এমনটাই জানানো হয়েছে বেলভিউ হাসপাতালের তরফ থেকে। এদিন চিকিৎসক অরিন্দম কর জানান , আজ রক্তক্ষরণ হয়নি। যদিও রক্ত দেওয়ার পরও তাঁর শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা খুবই কম। যদি ফের তাঁর শরীরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে তাহলে বিশেষজ্ঞ টিমের সঙ্গে কথা বলে তাঁর ভাসকুলার ইন্টারভেশন করা হবে । হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নতুন করে নেমে যায়নি । তাঁর হার্ট রেট, ব্লাড প্রেসার সব কিছুই স্থিতিশীল রয়েছে । আজ আর কোনও ডায়ালিসিস করা হবে না । তাঁর শরীরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ কীভাবে বন্ধ করা যায় এখন সেটাই চেষ্টাই করছি আমরা । বিষয়টা অনেকটাই আয়ত্তে আনা গিয়েছে । তবে আমরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছি না । আরও পড়ুন ঃ শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের

নভেম্বর ০২, ২০২০
বিনোদুনিয়া

শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের

রবিবার সকালে শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ অনেকটাই কমে গিয়েছিল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। এদিন বেলভিউ হাসপাতালের তরফ থেকে জারি করা এক মেডিক্যা্ল বুলেটিনে অরিন্দম কর জানান, শরীরের ভিতরে রক্তক্ষরণও হয় । এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার জন্য আমরা তাঁকে প্লেটলেট দিই। বিকেলের দিকে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। রক্তক্ষরণও সামান্য কমানো সম্ভব হয়েছে। আরও পড়ুন ঃ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ডায়ালিসিস হল না আজ তিনি আরও বলেন, সৌমিত্রবাবুর প্রস্রাবের পরিমাণ এখন ঠিক রয়েছে । ইউরিয়া ও ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণও খারাপ নয় । ফুসফুসের অবস্থাও ঠিক আছে । রেস্পিরেটরি সাপোর্টও আগের মতোই রয়েছে, বাড়ানো বা কমানো হয়নি । আজ তাঁর ডায়ালিসিস করা হতে পারে।

নভেম্বর ০১, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

খেলার দুনিয়া

মায়ানগরীতে কী চমক দেখান মেসি, তা নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহ তুঙ্গে

হতে পারত মেসিময় এক স্মরণীয় সন্ধ্যা। কিন্তু বাস্তবে তা পরিণত হল চরম বিশৃঙ্খলায়। হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এসেও লিওনেল মেসিকে দেখতে পেলেন না দর্শকরা। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে ওঠে যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় স্টেডিয়াম। ভিড় ও বিশৃঙ্খলার জেরে যুবভারতী ছেড়ে দ্রুত বেরিয়ে যান মেসি। স্টেডিয়াম থেকেই তিনি রওনা দেন বিমানবন্দরের দিকে।কলকাতার অভিজ্ঞতা সুখকর না হলেও সন্ধ্যাবেলায় হায়দরাবাদে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি দেখা যায়। সেখানে রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হয় গোট ট্যুর-এর অনুষ্ঠান। গোটা স্টেডিয়াম ঘুরে দেখেন মেসি। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির সঙ্গে ফুটবল খেলেন তিনি। কিছুক্ষণ পায়ে বল নাচান আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী তারকা। আলোয় সাজানো স্টেডিয়ামে শেষ পর্যন্ত তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেই অনুষ্ঠানে মেসি রাহুল গান্ধীকে একটি সই করা জার্সি উপহার দেন।গোট ট্যুর-এর পরবর্তী গন্তব্য মুম্বই। মায়ানগরীতে কী চমক দেখান মেসি, তা নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহ তুঙ্গে। জানা গিয়েছে, বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ক্রিকেট ক্লাব অফ ইন্ডিয়ায় একটি প্যাডেল ম্যাচে অংশ নেবেন তিনি। সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন ক্রিকেটের ঈশ্বর শচীন তেণ্ডুলকর। এরপর বিকেল পাঁচটায় ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয়েছে একটি প্রদর্শনী ম্যাচ। ৭ বনাম ৭ জনের সেই ম্যাচে অংশ নেবেন বলিউডের একাধিক তারকা। মাঠে উপস্থিত থাকবেন মেসি এবং সেখানেই শচীনের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হওয়ার কথা।ওয়াংখেড়েতেই দর্শকরা মেসিকে কাছ থেকে দেখতে পারবেন। এছাড়াও নির্দিষ্ট আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য একটি ফ্যাশন শো এবং নিলামের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে আর্জেন্টিনার ২০২২ বিশ্বকাপ জয়ের স্মারক প্রদর্শিত হবে। ওই অনুষ্ঠানে জ্যাকি শ্রফ, জন আব্রাহাম ও করিনা কাপুরের মতো বলিউড তারকাদের উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।এর আগে কলকাতায় উদ্যোক্তাদের ব্যর্থতায় ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ক্ষুব্ধ দর্শকদের একাংশ বোতল ছোড়ে, ভাঙচুর চালানো হয় ফেন্সিং ও চেয়ার। ঘটনায় ইতিমধ্যেই মূল আয়োজক শতদ্রু দত্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কলকাতার সেই ব্যর্থ আয়োজনের রেশ কাটতে না কাটতেই এখন নজর মুম্বইয়ে, সেখানে কি অবশেষে মেসির ম্যাজিক দেখতে পাবেন দর্শকরা, সেটাই বড় প্রশ্ন।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫
কলকাতা

মেসির সঙ্গে হায়দরাবাদ যাওয়ার আগেই গ্রেফতার, ১৪ দিনের হেফাজতে শতদ্রু

শনিবার মেসির সঙ্গে হায়দরাবাদ যাওয়ার কথা ছিল অন্যতম আয়োজক শতদ্রু দত্তর। কিন্তু তার আগেই সিআইএসএফ ও পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। রবিবার তাঁকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। আদালত ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।রবিবার প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর পর শতদ্রুকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। সেই সময় কয়েকজন বিজেপি কর্মী আদালত চত্বরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের হাতে ছিল গেরুয়া পতাকা ও চপ্পল। পুলিশ বাধা দিলে বিজেপি কর্মীরা প্রশ্ন তোলেন, শনিবার যুবভারতীতে বিশৃঙ্খলার সময় পুলিশ কী করছিল। তাঁদের অভিযোগ, ২০ টাকার জলের বোতল ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। আদালত চত্বরে তখন চোর-চোর স্লোগান ওঠে।এ দিন আদালতে সরকারি আইনজীবী স্পষ্ট জানান, এই ঘটনায় কোনও ভাবেই যাতে শতদ্রু দত্ত জামিন না পান। তাঁর দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা যুক্ত, তা জানার জন্য আরও তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা প্রয়োজন। অন্য দিকে, শতদ্রুর আইনজীবী আদালতে বলেন, ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের কোনও প্রয়োজন নেই। তাঁর দাবি, শতদ্রু শুধু অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন, বিশৃঙ্খলার জন্য তিনি একা দায়ী নন। হেফাজতের সময়সীমা কমানোর আবেদনও জানান তিনি।প্রসঙ্গত, শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে চরম বিশৃঙ্খলার ঘটনার পরই পুলিশ শতদ্রু দত্তকে গ্রেফতার করে। আগেই এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম জানিয়েছিলেন, এই ঘটনায় কাউকেই রেয়াত করা হবে না। ঘটনার পর স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় বিধাননগর দক্ষিণ থানায় মামলা দায়ের হয়। একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। বিএনএস-এর ১৯২, ৩২৪, ৩২৬, ১৩২, ১২১, ৪৫ ও ৪৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি মোটর ভেহিকলস আইন এবং সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর সংক্রান্ত পিডিপিপি আইনের ধারাও যোগ করা হয়েছে।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

আইসিসির অনুরোধ উড়িয়ে, অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপেও পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মেলাল না ভারত

এশিয়া কাপে পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মেলায়নি ভারত। সেই ছবি আগেই দেখা গিয়েছে সিনিয়র দলের ম্যাচে। এবার নজর ছিল অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে। দেখার ছিল, পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটাররা হাত মেলায় কি না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়েও একই ছবি দেখা গেল। আইসিসির অনুরোধ উপেক্ষা করেই পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাল না ভারতীয় দল।টসের সময়েও দুই দলের মধ্যে করমর্দন হয়নি। টসে জিতে পাকিস্তানের অধিনায়ক ফারহান ইউসুফ প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন। ভারত ব্যাট করতে নামে। মাঠের বাইরের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা চললেও মাঠের ভিতরে শুরু হয় লড়াই।পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে ব্যর্থ হলেন ভারতের তরুণ ব্যাটার বৈভব। অধিনায়ক আয়ুষ মাত্রেরা কিছুটা স্বচ্ছন্দে শুরু করলেও বৈভব আলি রাজার বলের সামনে বারবার সমস্যায় পড়েন। শেষ পর্যন্ত ১৪ বছর বয়সি বৈভব ৬ বলে মাত্র ৫ রান করে আউট হন। মহম্মদ সায়ামের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। আগের ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বিরুদ্ধে ৯৫ বলে ১৭১ রানের দুরন্ত ইনিংস খেললেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রান পেলেন না তিনি।এর আগেও সিনিয়রদের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের সঙ্গে করমর্দন না করার নীতি বজায় রেখেছিল ভারত। তিনবার পাকিস্তানকে হারালেও টসের আগে বা পরে হাত মেলাননি সূর্যকুমার যাদবরা। এমনকি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভির কাছ থেকে ট্রফি নেননি ভারতীয় ক্রিকেটাররা। সেই ট্রফি এখনও হাতে পায়নি ভারত।একই নীতি দেখা গিয়েছিল মহিলা দলের ওয়ানডে বিশ্বকাপেও। হরমনপ্রীত কৌরদের দলও পাকিস্তানের সঙ্গে করমর্দন করেনি। যদিও অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ক্ষেত্রে আইসিসি চেয়েছিল, মাঠে যেন রাজনীতির ছায়া না পড়ে। গোটা বিষয়টির উপর নজরও রেখেছিল ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা। তবু শেষ পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে হাত মেলানোর ছবি দেখা গেল না।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫
বিদেশ

ফের আমেরিকায় বন্দুকবাজের তাণ্ডব, ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্যু দু’জনের

ফের আমেরিকায় বন্দুকবাজের হামলায় রক্তাক্ত হল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শনিবার আইভি লিগের অন্তর্ভুক্ত ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিল্ডিংয়ে আততায়ীর গুলিতে অন্তত দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত আট জন। আচমকা এই হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা ক্যাম্পাসে।ঘটনার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলছিল। শনিবার ছিল পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন। সেই সময়ই গুলির শব্দে আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু করেন পড়ুয়া ও কর্মীরা। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি জানিয়েছেন, আইভি লিগ ক্যাম্পাস জুড়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে এবং আততায়ীর খোঁজে অভিযান চলছে।হামলার প্রায় দুঘণ্টা পরেও ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের ঘরের ভিতরে থাকতে বলা হয়েছে। পুলিশ সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলাকারীর পরনে ছিল কালো পোশাক। সিসিটিভি ফুটেজে তাকে হামলার পর বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। আততায়ীকে চিহ্নিত করতে জোরকদমে তদন্ত চলছে। যদিও প্রথমে একজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হলেও পরে জানা যায়, তাঁর সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ নেই। তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫
রাজ্য

কাঁপুনি ধরাচ্ছে শীত! কলকাতা থেকে দার্জিলিঙে তাপমাত্রা নামছে আরও

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পৌঁছতেই দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে শীতের আমেজ স্পষ্ট। সকাল ও রাতের দিকে ঠান্ডা হাওয়ায় কাঁপছে শহর থেকে জেলা। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে শীত আরও তীব্র আকার নিয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী চার থেকে পাঁচ দিন রাজ্য জুড়েই একই রকম আবহাওয়া বজায় থাকবে। তাপমাত্রা আরও সামান্য নামতে পারে।ডিসেম্বরের শুরু থেকেই বাংলায় শীতের উপস্থিতি টের পাওয়া যাচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, মাসের তৃতীয় সপ্তাহেও এই শীতের আমেজ অটুট থাকবে। আগামী সাত দিন দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচেই থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত বড় কোনও তাপমাত্রা পরিবর্তনের ইঙ্গিত নেই।হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পশ্চিমের জেলাগুলিতে আগামী কয়েক দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। কলকাতার আকাশ বেশিরভাগ সময় পরিষ্কার থাকবে। সকালে হালকা কুয়াশা থাকতে পারে, তবে বেলা বাড়লে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। শহরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির আশপাশে এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে প্রায় ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।শনিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ০.৩ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.৮ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের থেকে ১.২ ডিগ্রি কম। আপাতত রাজ্যে বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই।উত্তরবঙ্গে শীতের দাপট আরও বেশি। শৈলশহর দার্জিলিঙে তাপমাত্রা নেমেছে ৪ ডিগ্রির ঘরে। উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলায় ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের নিচের জেলাগুলি যেমন মালদহ, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫
রাজ্য

বোমা-গুলির লড়াইয়ে প্রাণ গেল ১২ বছরের কৌসেরার! ইসলামপুরে তীব্র উত্তেজনা

এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রক্তাক্ত হয়ে উঠল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর। বোমাবাজি ও গুলির মাঝেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক নাবালিকার। শনিবার গভীর রাতে এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত নাবালিকার নাম কৌসেরা বেগম। বয়স ১২ বছর। সে ইসলামপুর থানার মাটিকুণ্ডা ২ নম্বর পঞ্চায়েতের ঝলঝলি এলাকার বাসিন্দা। কৌসেরা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। স্থানীয় সূত্রের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই রফিক আলম ও নুর আলমের মধ্যে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে বিবাদ চলছিল।মৃত নাবালিকার বাবা জাহিদ আলম রফিক আলমের ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ। শনিবার রাতে নুর আলমের অনুগামীরা জাহিদ আলমের বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সময় একের পর এক বোমা ফাটানো হয় এবং গুলিও চলে। এই হামলার মধ্যেই ছররা গুলিতে গুরুতর জখম হয় কৌসেরা।তড়িঘড়ি নাবালিকাকে উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নাবালিকার মৃত্যুর খবর ছড়াতেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।রবিবার সকালেও এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশি টহল চলছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল বলেন, পুরনো জমি বিবাদ থেকেই এই অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। তিনি জানান, পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে তিনি এলাকায় যাবেন। ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেন্ডুক শেরপা বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে বড় চমক! অধিকার যাত্রায় নামছে মিম

ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য রাজনীতিতে বিশেষ নজর পড়েছে মুর্শিদাবাদ ও মালদহে। কারণ, বাংলায় ধীরে ধীরে নিজেদের শক্তি বাড়াচ্ছে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন বা মিম। ভোটের আগে সংগঠন মজবুত করতেই এবার মুর্শিদাবাদ জেলাজুড়ে শুরু হচ্ছে AIMIM-এর অধিকার যাত্রা।দল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অধিকার যাত্রার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ন্যায্য দাবি, বঞ্চনা এবং অধিকারকে সামনে রেখে জোরালো আন্দোলনের বার্তা দেওয়া হবে। এই যাত্রায় উপস্থিত থাকবেন AIMIM-এর রাজ্য সভাপতি ও মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি আসাদুল শেখ। তাঁর নেতৃত্বে এই কর্মসূচি আরও শক্তিশালী হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।সম্প্রতি মালদহে মিমের সক্রিয়তা ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চর্চা বেড়েছে। স্থানীয় সূত্রের দাবি, সন্ধ্যা নামলেই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন দলের কর্মীরা। অনেক মানুষ, যাঁরা আগে এই দলের নামও শোনেননি, তাঁরাও এখন সরাসরি মিমের সঙ্গে যোগাযোগ পাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি বাংলায় মিমের প্রভাব বাড়ছে।উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সদ্য শেষ হওয়া বিহার বিধানসভা নির্বাচনে পাঁচটি আসনে জয় পেয়েছে AIMIM। সেই ফল প্রকাশের পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গে দলটির তৎপরতা অনেকটাই বেড়েছে। একাধিক জেলায় সংগঠন গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি মালদহেও অনেক মানুষ মিমে যোগ দিচ্ছেন বলে দাবি দলের।মিম নেতৃত্ব জানিয়েছে, মালদহ জেলার ১২টি বিধানসভার প্রতিটিতেই তারা প্রার্থী দেবে। এর মধ্যে সাতটি বিধানসভায় বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদও রয়েছে দলের রাজনৈতিক লক্ষ্য তালিকায়। এর আগেই হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, তিনি মিমের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়তে পারেন। তার মধ্যেই অধিকার যাত্রা শুরু হওয়ায় রাজ্য রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কলকাতায় বিতশ্রদ্ধ, হায়দরাবাদে হাসিমুখ মেসি! কেন এত ফারাক?

ফুটবলের রাজপুত্র লিওনেল মেসিকে (Lionel Messi) দেখে হাসিতে ভরে উঠল হায়দরাবাদ। মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে বল পাস করার চেষ্টা, মাঠ জুড়ে হাঁটাহাঁটি, দর্শকদের দিকে শট, খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত মেলানোসব মিলিয়ে আবেগে ভাসলেন মেসি। এমন দৃশ্য কলকাতাতেও দেখা যেতে পারত। কিন্তু তা হয়নি। যে শহর ফুটবলের পাগল বলে পরিচিত, সেই কলকাতাই মেসিকে (Lionel Messi) হাসিমুখে ফিরিয়ে দিতে পারল না। উল্টো দিকে হায়দরাবাদ দেখাল সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি।হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সন্ধে ৭টা ৫৫ মিনিট নাগাদ পৌঁছন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ল্যুই সুয়ারেজ় এবং রড্রিগো ডিপল। প্রথমে তাঁরা ভিআইপি বক্সে বসে প্রদর্শনী ম্যাচ উপভোগ করেন। এরপর মাঠে নামেন মেসি (Lionsl Messi)। সঙ্গে ছিলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। মুখ্যমন্ত্রী পুরো ফুটবল জার্সি পরে মাঠে নামেন। মেসির দিকে বল পাস করার চেষ্টা করলেও সফল হননি। অন্যদিকে সহজ ভঙ্গিতেই গোল করেন এলএম১০। তখন মাঠজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে উল্লাস।মাঠে নেমে এক গাল হাসি নিয়ে গোটা স্টেডিয়াম ঘুরে দেখেন মেসি। খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত মেলান। দর্শকদের দিকে শট মারেন। গ্যালারিতে বসে থাকা প্রায় ৪০ হাজার দর্শক তখন আবেগে ভেসে যান। হাততালি, চিৎকারে ফেটে পড়ে গোটা স্টেডিয়াম। মেসির মুখে ছিল ম্যাচ জেতার পরের সেই চওড়া হাসি ।কলকাতায় এই ছবিটা দেখা যায়নি। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ভিড়ের ঠেলাঠেলি, বিশৃঙ্খলা আর ভাঙচুরের জেরে নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন মেসি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় মেসির গোট ট্যুরে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েও পড়েছিলেন। কিন্তু মাঝপথেই গাড়ি ঘুরিয়ে নিতে হয়। কারণ ততক্ষণে যুবভারতী ছাড়েন মেসি। স্টেডিয়ামের ভিতরে তখন ভাঙচুর চলছিল।কলকাতা থেকে হায়দরাবাদে পৌঁছলেও মেসির মুখে ক্লান্তির ছাপ ছিল না। বরং কলকাতার তুলনায় অনেক বেশি স্বস্তিতে ও খুশি দেখায় তাঁকে। কারণ সেখানে অনুষ্ঠান ঘিরে কোনও হুড়োহুড়ি বা অযথা ভিড় ছিল না। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তবে তিনি মেসির সঙ্গে ছবি তোলার জন্য ভিড় করেননি। বরং ছোট ফুটবলার বা শিশুদের আগে জায়গা করে দেন। পরে তাঁকে মেসির সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায়। তাঁর এই সৌজন্য সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে।কলকাতায় যেখানে রাজনৈতিক নেতা ও অতিথিদের সঙ্গে ছবি তোলার ভিড়েই ঢেকে গিয়েছিল মেসিকে দেখার সুযোগ, সেখানে হায়দরাবাদে দর্শকরাই ছিলেন কেন্দ্রবিন্দুতে। কলকাতায় অনেক দর্শক ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করেও মেসির মুখটুকু দেখতে পাননি। হায়দরাবাদে দর্শকরা পেয়েছেন মাঠের মেসিকে, হাসি, শট আর আবেগে ভরা মুহূর্ত (Lionesl Messi)।উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মেসির হায়দরাবাদ সফর অনেক আগে থেকে ঠিক ছিল না। কলকাতা, মুম্বই বা দিল্লির মতো শহরের তালিকায় প্রথমে ছিল না হায়দরাবাদ। শেষ মুহূর্তে সংযোজন হয় এই শহরের নাম। তবুও ভিড় সামলে, সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠান পরিচালনা করে নজির গড়ল নিজামের শহর। আর কলকাতা? সেই ছবি ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্ব দেখে ফেলেছে।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal